রাঙামাটি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় ইউপিডিএফের চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিন সংগঠন।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় জেলা সদরের কুতুকছড়িতে বড়মহাপূরম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, একটি লাঠি মিছিল কুতুকছড়ি বাজারসহ রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে, সমাবেশের কারণে সড়ক অবরোধ হয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে। সড়কের দুই পাশে পথ আটকে অপেক্ষমান ছিল প্রায় শতাধিক গাড়ি।
সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিপন আলো চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নিকন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক থুইনু মং মারমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নিশি চাকমা প্রমুখ।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিনা চাকমা।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘যদি ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী কল্পনা চাকমা অপহরণ ঘটনার উদঘাটন হতো, গুম-খুনের বিচার হতো; তাহলে পানছড়িতে এমন খুনের ঘটনা ঘটতো না। ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ির স্ব-নির্ভর হতাকাণ্ডের বিচার হলে এই ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো না। যারা বিপুল-সুনীলদের হত্যা করেছে তাদের পরিনাম ভয়াবহ বলে হুঁশিয়ারি দেন তিন সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিল পাড়ায় গুলি করে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠনের চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর নিখোঁজ তিনজনকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী উদ্ধারের কথা জানালেও সমাবেশ থেকে উদ্ধার ঘটনাকে ‘নাটক’ বলছে ইউপিডিএফের নেতারা।